তিমি গবেষণায় মিলল স্ট্রোক ও ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা
বিশেষ প্রজাতির গুজ বিকড তিমি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম ডুব দিতে সক্ষম প্রাণীর মধ্যে অন্যতম। নতুন ধরনের চিকিৎসা সম্ভাবনার দিকে যা ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই তিমি প্রায় ৯,৮১৬ ফুট গভীরে ডুব দিতে পারে এবং কম অক্সিজেনের পরিবেশেও দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এই অক্সিজেন ব্যবহারের বিশেষ কৌশল নিয়ে গবেষণা করছেন। যা একদিন মানুষের স্ট্রোক ও ক্যানসারসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে।
ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গুজ বিকড তিমি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের লক্ষ্য হলো জানা, কিভাবে তিমির কোষগুলো কম অক্সিজেনেও শক্তি উৎপাদন করতে পারে। গবেষকরা তিমির ত্বক, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, পেশি ও মস্তিষ্কের টিস্যু সংগ্রহ করেছেন এবং ল্যাবে পরীক্ষা চালাচ্ছেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিমির ত্বক কোষগুলো কম অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও কার্যকর থাকে, যেখানে মানব, গরু ও ডলফিনের কোষের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
গবেষণায় আরও পাওয়া গেছে, তিমির কোষে বিশেষ জেনেটিক অভিযোজন রয়েছে, যা অক্সিজেনের অভাবে শক্তি উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এই অভিযোজন মানবদেহে নেই, যা নতুন ধরনের চিকিৎসা বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি করছে।
এই ধরনের গবেষণা ভবিষ্যতে স্ট্রোক, ক্যানসার ও অন্যান্য অক্সিজেন সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় নতুন দিশা দিতে পারে। এটি সারা বিশ্বের চলমান গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী প্রাণীদের শারীরিক অভিযোজন ক্ষমতা নিয়ে গবেষণার অংশ।
Comments
Post a Comment