ইউএনওর মামলায় অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার

 



ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খানের করা প্রতারণা মামলায় বনপাড়া আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে অধ্যক্ষ ইমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করে আজ সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।


এর আগে রবিবার রাতে হালুয়াঘাট থানায় ইমদাদুল হককে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ইউএনওর পক্ষে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা করেন উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আবুল হাসনাত রনি। 


উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নে অবস্থিত বনপাড়া আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজটি ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়।


২০১০ সালে নিম্নমাধ্যমিক ও ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এমপিওভুক্ত হয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খানের স্বাক্ষর জাল করে পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে যাদের নাম দেওয়া হয় তারা হলেন, প্রভাষক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, মোস্তফা হাসান, মো. ফারুক খান, বিউটি রানী সরকার, মোছা. শেফালী খাতুন ও অফিস সহায়ক রিফাত হাসান।

খবরটি ইউএনওর নজরে এলে আবেদনগুলো তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেন।


এ নিয়ে উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত এই কলেজে ৪১ জন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ২৪ জনের মতো প্রভাষকের নিয়োগ জাল সনদে করা হয়েছে। ইউএনও এ বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন।


কিন্তু অধ্যক্ষ কোনো সহযোগিতা করেননি। তারপরও তদন্তে অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সরকারের কোটি কোটি টাকা সে অবৈধ নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সে সাময়িক বরখাস্ত হবেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলীনূর খান বলেন, ‘অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হক শুধু আমার স্বাক্ষর জাল করেছেন বিষয়টি এমন নয়।


তিনি জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি গঠন করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করি এবং সত্যতা পাওয়ার পর থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করি। অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় স্বাক্ষর জাল করে বোর্ডের সুযোগ-সুবিধা আদায় করাসহ জাল সনদে এমপিওভুক্তি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। এমন অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।’

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, ‘এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। আমরা রাতেই প্রধান আসামি অধ্যক্ষ মো. ইমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’


Countdown Timer
00:01

Comments

Popular posts from this blog

দেশে আবারও করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত ৩

ঢাকায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

১২শ বস্তা চাল উদ্ধার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফের বক্তব্য