প্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে ৬০ দিন হচ্ছে: মহাপরিচালক নূর মো. শামসুজ্জামান
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে ১৭৯ দিনের মতো স্কুল খোলা থাকে। বছরে ছুটি ৭৯ দিনের মতো। তাই ছুটি কমানোর চিন্তা করছে সরকার। ছুটি ৭৯ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে। সরকার বলছে, এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সময় স্কুলে থাকতে পারবে এবং পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে।
আজ রোববার সাতক্ষীরায় এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমনটাই জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।
সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ রিসোর্টের মিলনায়তনে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার ৪০ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশে বছরে মাত্র ১৭৯ দিন স্কুল খোলা পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বাড়াতে ছুটির ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমাদের বছরে ছুটি ছিল ৭৯ দিন। তা কমিয়ে ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সময় স্কুলে থাকতে পারবে এবং পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে।’
এ সময় স্কুলের আশপাশে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘প্রায় সব স্কুলের পাঁচিলের বাইরে সারি সারি দোকান। এসব দোকানে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, আইসক্রিমসহ নানা মুখরোচক খাবার বিক্রি হয়। কিন্তু এগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। ফুচকা বিক্রেতারা এক বালতি পানি দিয়েই সারা দিনের সব কাজ সারছে। একই পানি দিয়ে প্লেট ধোয়া, হাত ধোয়া, এমনকি ঘাম মোছার কাজও হচ্ছে। এরপর একটি গামছা দিয়েই সব মুছে ফেলা হচ্ছে। অথচ শিশুরাসহ আমরা সেসব খাবার খাচ্ছি।’
আবু নূর মো. শামসুজ্জামান আরও বলেন, অন্যদিকে সামর্থ্যবানেরা তথাকথিত ‘জাঙ্ক ফুড’ খাচ্ছেন, যেখানে কেমিক্যালসহ নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করা হয়। শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে, ‘ফুড সিকিউরিটি’ ও ‘ফুড সেফটি’। শুধু খাবারের প্রাপ্যতা নয়, খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।
Comments
Post a Comment