পাকা চুল বা দাড়ি তুলে ফেলা কি জায়েজ?
মানুষের সৌন্দর্যের বড় অংশই চুল ও দাড়ির ওপর নির্ভরশীল। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মে চুল ও দাড়ি সাদা হয়ে যায়। এ নিয়ে অনেকের মনে অস্বস্তি কাজ করলেও ইসলাম এ বিষয়ে ভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
ইসলামে কেন পাকা চুল ও দাড়ি ওঠানো নিষেধ?
হাদিসে পাকা চুল-দাড়িকে রহমত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ্ (সা.) পাকা চুল উপড়ে ফেলতে স্পষ্টভাবে নিষেধ করেছেন।
আমর ইবনে শুআইব (রাহ.) তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, তোমরা শরীরের সাদা চুলগুলো উঠিয়ে ফেলো না। কারণ, কোনো মুসলমানের চুল তার ইসলামী জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই সাদা হয়ে গেলে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য আলো হিসেবে উদ্ভাসিত হবে।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, প্রতিটি সাদা চুলের বিনিময়ে আল্লাহ একটি সওয়াব দান করবেন এবং একটি গোনাহ ক্ষমা করবেন।
চুল-দাড়ি সাদা হয়ে গেলে কী করবেন?
চুল বা দাড়ি সাদা হয়ে গেলে তা প্রাকৃতিক উপায়ে রঙ করা যেতে পারে। তবে কালো রং ব্যবহার না করে অন্য রং ব্যবহার করাই উত্তম। এতে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের থেকে ভিন্নতা প্রকাশ পায়, যা শরীয়তে কাম্য।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন আবু ক্বুহাফাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা.)-এর সামনে আনা হলো। তার চুল ও দাড়ি ছিল পুরোপুরি সাদা। তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বললেন, এগুলিকে রঙিন করে দাও, তবে কালো রঙ ব্যবহার করবে না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, ইহুদি-খ্রিষ্টানরা চুল-দাড়ি রং করে না। তোমরা তাদের বিপরীতে চুল-দাড়ি রং করো।
. পাকা চুল বা দাড়ি তুলে ফেলা ইসলামে নিষিদ্ধ।
. এটি রহমত ও সওয়াবের কারণ।
. কালো রং ছাড়া অন্য প্রাকৃতিক রঙে দাড়ি-চুল রঙ করা যেতে পারে।
এভাবে ইসলামে পাকা চুল-দাড়ি মানুষকে সম্মান, সওয়াব এবং আল্লাহর নৈকট্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
সূত্র- আবু দাউদ : ৪২০২, মুসলিম : ২১০২, ২১০৩
Comments
Post a Comment