নাক ডাকা বন্ধের সহজ ৭ উপায়

 



ঘুমের সময় অনেকের নাক ডাকার শব্দ আশেপাশের মানুষকে যেমন বিরক্ত করে, তেমনি এটি স্বাস্থ্যঝুঁকিরও ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নাক ডাকা স্থায়ী সমস্যা নয়; কিছু জীবনধারা পরিবর্তন ও ঘুমের সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে এটি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।


নাক ডাকার কারণ


চিকিৎসকরা জানান, ঘুমের সময় গলার পেছনের নরম পেশি ঢিলে হয়ে গেলে শ্বাসনালির পথ সংকীর্ণ হয়। এতে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়ে শব্দ তৈরি হয়, যাকে আমরা নাক ডাকা বলি।


এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ হলো:


. অতিরিক্ত ওজন, যা গলার পেছনে চর্বি জমিয়ে শ্বাসনালি সংকীর্ণ করে।


.মদপান ও ধূমপান, যা গলার পেশি ঢিলে করে বা আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত করে।


.পলিপ, সাইনাস বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা।


.পিঠের ওপর শোয়া, যেখানে জিহ্বা গলার পেছনে পড়ে গিয়ে বাধা সৃষ্টি করে।


. দীর্ঘদিন ঘুম কম হলে গলার পেশি অতিরিক্ত ঢিলে হয়ে যায়।


নাক ডাকা কমানোর ৭ সহজ উপায়


. ঘুমের ভঙ্গি বদলান (বাঁ বা ডান পাশ হয়ে ঘুমান)


. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন


. ঘুমের আগে অ্যালকোহল ও সিডেটিভ এড়িয়ে চলুন


. নাক পরিষ্কার ও নাসারন্ধ্র খোলা রাখুন


. মাথা একটু উঁচু করে ঘুমান


. পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর হাইড্রেটেড রাখুন


. নিয়মিত ও ভালো ঘুমের অভ্যাস (Sleep Hygiene) বজায় রাখুন


বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ


যদি নাক ডাকা মাঝে মাঝে হয়, তবে তা আতঙ্কের কিছু নয়। তবে এর সঙ্গে যদি শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারাদিন অবসাদ, মাথাব্যথা বা ঘুম ভাঙার মতো সমস্যা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তনই নাক ডাকার মতো অস্বস্তিকর সমস্যাকে কমিয়ে আনতে পারে।


Countdown Timer
00:01

Comments

Popular posts from this blog

দেশে আবারও করোনায় মৃত্যু, শনাক্ত ৩

ঢাকায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

১২শ বস্তা চাল উদ্ধার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফের বক্তব্য