মক্কায় বিপুল স্বর্ণখনি আবিষ্কার, বিশ্ববাজারে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত

 



সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের খনি আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মানসুরা–মাসারাহ স্বর্ণখনির দক্ষিণে নতুন এই খনি আবিষ্কারের ফলে রাজতন্ত্রটির স্বর্ণখনন খাতের পরিসর আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।


শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।


আরবিয়ান গালফ বিজনেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব আবিষ্কৃত স্বর্ণখনিটি প্রায় ১২৫ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত—যা ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


এই আবিষ্কার সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’–এর অংশ, যার মূল লক্ষ্য তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প খাত, বিশেষ করে খনিজ শিল্পকে অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভে পরিণত করা।

রাষ্ট্রীয় খনিজ কোম্পানি ‘মাআদেন’ জানিয়েছে, প্রায় ১০০ কিলোমিটারজুড়ে উচ্চমাত্রার স্বর্ণখনি শনাক্ত হয়েছে। খনন নমুনা বিশ্লেষণে প্রতি টন মাটিতে সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৬ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।


মাআদেনের প্রধান নির্বাহী রবার্ট উইলে বলেছেন, ‘এই নতুন আবিষ্কার মক্কাকে বৈশ্বিক স্বর্ণখনি মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’


বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই খনি আবিষ্কার সৌদি আরবের স্বর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা বহুগুণ বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আন্তর্জাতিক স্বর্ণবাজারেও প্রভাব ফেলবে, যেখানে বর্তমানে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম ১,১১৫ ডলারের বেশি।

মানসুরা–মাসারাহ খনিতে বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ আউন্স স্বর্ণের মজুত রয়েছে এবং প্রতিবছর সেখান থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার আউন্স স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়। নতুন আবিষ্কারটির ফলে খনি কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে এবং প্রায় ১২৫ কিলোমিটারজুড়ে একটি বিশ্বমানের স্বর্ণবেল্ট গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।


শিল্প ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী বান্দার আলখোরাইফ বলেন, ‘সৌদি আরবের খনিজ খাত বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল খাতগুলোর একটি। এই আবিষ্কার আমাদের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’


এছাড়া মাআদেন জানিয়েছে, ওয়াদি আল-জাও এবং জাবাল শাইবান অঞ্চলেও নতুনভাবে স্বর্ণ ও তামার উচ্চমাত্রার খনিজের সন্ধান মিলেছে।

বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ স্বর্ণভাণ্ডারধারী দেশ (অক্টোবর ২০২৫ অনুযায়ী)


১. যুক্তরাষ্ট্র – ৮,১৩৩.৫ টন


২. জার্মানি – ৩,৩৫১ টন


৩. ইতালি – ২,৪৫১.৮ টন


৪. ফ্রান্স – ২,৪৩৭ টন


৫. রাশিয়া – ২,৩৩২.৭ টন


এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় ১০,০০০ টন স্বর্ণভাণ্ডারসহ বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণভাণ্ডারধারী হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

Countdown Timer
00:01

Comments

Popular posts from this blog

অজুর পর মূত্র ফোঁটা বেরিয়েছে মনে হলে যা করবেন, জেনে নিন শরিয়তের স্পষ্ট নির্দেশনা!

লিঙ্গে শক্তি না আসার ৫টি প্রধান কারণ

বাথরুমে ওজু বা নামাজ পড়া যাবে?