বাথরুমে একদম খোলামেলা গোসল করা কি জায়েজ?

 



মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো পবিত্রতা রক্ষা ও শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। ইসলাম ধর্মে পবিত্রতার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্রতা রক্ষা করতে ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা : ১০৮)



পবিত্রতা অর্জন ও শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হলো গোসল করা। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ঘরে বা বাথরুমে একা থাকলে নির্দ্বিধায় উলঙ্গ হয়ে গোসল করেন। তাই প্রশ্ন জাগে, ‘বাথরুমে একদম খোলামেলা গোসল করা কি জায়েজ? এমনটা করলে গোনাহ হবে কি না?’


চলুন তাহলে শরিয়তের ভাষ্য জেনে নিই—



মাদ্রাসা মারকাযুন নূর বোর্ডবাজার,গাজীপুর-এর পরিচালক মুফতি রিজওয়ান রফিকী বলেন, বাথরুমে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েজ আছে। তবে ইসলামী শরিয়তে নির্জনেও পূর্ণ উলঙ্গ থাকা অনুচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি জানান, হজরত মুআবিয়া (রা.) বলেছেন, ‘আমি রাসুলকে (সা.) জিজ্ঞেস করলাম, আমরা সতরের কতটুকু অবলম্বন করব আর কতটুকু ছড়ব? তিনি বললেন, তোমার স্ত্রী ও দাসী ছাড়া সকলের নিকট থেকে সতরের হিফাজত করবে। মুআবিয়া (রা.) বললেন, যদি একজন পুরুষ আরেকজন পুরুষের সঙ্গে অবস্থান করে তাহলে? তিনি বললেন, যথাসম্ভব তোমার সতর যেন কেউ না দেখে সে ব্যবস্থা করবে। আমি বললাম, যদি কোনো পুরুষ একাকী থাকে? তিনি বললেন, লজ্জা করার ক্ষেত্রে তো আল্লাহতায়ালা অধিক হকদার।’ (জামে তিরমিজি : ২৭৬৯)



অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা ও পরকালের প্রতি যে লোক ইমান রাখে সে যেন ইযার (লুঙ্গি) পরিহিত অবস্থা ছাড়া গোসলখানায় প্রবেশ না করে। (জামে তিরমিজি : ২৮০১, নাসাঈ : ৪০১)



ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা নগ্নতা হতে বেঁচে থাকো। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন (কিরামান-কাতিবিন) যারা প্রস্রাব-পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোনো সময় তোমাদের হতে আলাদা হন না। সুতরাং তাদের লজ্জা করো এবং সম্মান করো। (তিরমিজি : ২৮০০)

Countdown Timer
00:01

Comments

Popular posts from this blog

অজুর পর মূত্র ফোঁটা বেরিয়েছে মনে হলে যা করবেন, জেনে নিন শরিয়তের স্পষ্ট নির্দেশনা!

লিঙ্গে শক্তি না আসার ৫টি প্রধান কারণ

বাথরুমে ওজু বা নামাজ পড়া যাবে?