সকালে নিয়মিত নাশতা না করে যেসব বিপদ ডেকে আনছেন
সকালের নাশতা না খাওয়া আজকাল অনেকের অভ্যাস হয়ে গেছে। ব্যস্ততা বা ওজন কমানোর ভুল ধারণা থেকে অনেকে নাশতা বাদ দেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শক্তির জোগান, হরমোন, মস্তিষ্কের কাজ, মেটাবলিজম—সবকিছুই নাশতার ওপর নির্ভরশীল।
১. শক্তির ঘাটতি ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ
রাতে খালি পেটে থাকার পর সকালে শরীর শক্তিহীন থাকে। নাশতা এ শক্তি পূরণ করে। নাশতা না করলে রক্তের গ্লুকোজ কমে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, মনোযোগ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ‘গ্রেলিন’ হরমোন বেড়ে যায়, ফলে দুপুরে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
২. মেটাবলিজম কমে যাওয়া
নাশতা বাদ দিলে শরীর অ্যানার্জি বাঁচাতে মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়, ফলে কম ক্যালোরি ক্ষয় হয়। এতে পেটের মেদ বাড়তে পারে এবং মেটাবলিক সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস
গ্লুকোজ না পেলে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তে সমস্যা, মনোযোগ কমে যাওয়া ও সারাদিন ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি
নিয়মিত নাশতা না করা উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়—যা হৃদরোগের কারণ।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
নাশতা না করলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-মিনারেল কমে যায়, ফলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় এবং সর্দি-কাশি বা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. খাওয়ার অভ্যাসে অসামঞ্জস্য
নাশতা বাদ দিলে পরে চিনি ও তেলযুক্ত খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ে, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের কারণ হয়।
৭. বায়োলজিক্যাল ক্লক ব্যাহত হওয়া
নাশতা শরীরের দৈনন্দিন ছন্দ ঠিক রাখে। নিয়মিত সুষম নাশতা সারাদিন শক্তি ও মনোযোগ বজায় রাখে।
আরটিভি/এস

Comments
Post a Comment